.
নিধি ও আবিদ একে অপরকে
ভালনাসে। পাশাপাশি বাসায়
থাকে। গতকাল আবিদের বাবা মা
এসেছে গ্রাম থেকে। তাই ইমপ্রেশন
জমানোর জন্য নিধি সবার জন্য রুটি
মাংস বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দরজায়
নক করবে এমন সময় ভেতর থেকে আবিদ ও
তার মায়ের কথাবার্তা শুনতে পেল।
.
- মা নিধি অনেক ভাল মেয়ে।
~ তাতে কি? তোর বন্ধু।
- তাই তো ও আমাকে ভাল বুঝবে।
~ দেখ শুধু বুঝলেই হয় না। সম্মানটা বড়
ব্যাপার।
- কি যে বল মা! ও আমাকে যথেষ্ট
সম্মান করে।
~ বন্ধু বন্ধুকে কতটুকু সম্মান করে তা আমি
ভালই জানি।
- আরে মা তুমি ভুল বুঝছো।
.
~ তোর বাবার আর আমার বিয়ে আজ ২৫
বছর হয়ে গেল। তবুও আজ পর্যন্ত আমি
উনাকে তুমি করেও বলিনি। আর এই
মাইয়া (নিধি) তোকে তুই করে বলে।
- আমরা বন্ধু তাই। তাছাড়া তুই আপনি
এসবে সম্মান নেই। সম্মান হল অন্তরে।
~ আমাকে শিখাতে আসিস না।
- দেখ মা ……… (দরজায় ঠকঠক শব্দ পেয়ে
কথা থামিয়ে দিল)
.
ঠকঠক ঠকঠক
- আরে তুমি? এসো এসো।
> আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
~ ওয়ালাইকুম আসসালাম (সালাম
নিয়েছে না যেন ঝাড়ি মেরেছে।
)
- তুমি হঠাৎ? হাতে এটা কি?
> আপনাদের জন্য এনেছি। চিকেন
বিরিয়ানি। (আবিদকে বলল)
.
আবিদ চোখ বড় বড় করে নিধির দিকে
তাকিয়ে আছে।
~ নিজে বানিয়েছো?
> জ্বি আন্টি নিজে বানিয়েছি।
সার্ভ করে দেই?
~ না থাক। আবিদের বাবা আসুন। উনি
আসলে এক সাথেই খাব।
> জ্বি আচ্ছা। আমি এখন যাই।
.
নিধি চলে এল। পরে বিকালে ছাদে
দেখা হল দুজনের।
- কেমন আছ?
> ভাল। আপনি?
- আপনি বলছ কাকে?
> আপনাকে।
- কেন? আমি কি পর?
~ আপনি বললে সম্মান দেয়া হয়ব তুমি -
তুই বললে অসম্মান করা হয়।
- হুম বুঝেছি। তখন আমাদের কথা
শুনেছিল তাই তো?
.
অন্যদিকে ঘুরে তাকালো।
- আরে পাগলী মা এমনিই বলেছে।
> উনি তো ঠিকই বলেছেন। আমি
আপনিও বলতে পারব। অসুবিধা নেই। তবুও
আপনাকে ছাড়া বাঁচবো না। (জড়িয়ে
ধরে কাদতে লাগল)
- ধুর বোকা। আমি তো তোমারই। আর শুন
বড় বড় নেতাদেরকেও আমরা আপনি করে
বলি। তাই বলে কি আমরা তাদেরকে
সত্যিই সম্মান দেই? নাহ। ওটা হল
সাময়িক সম্মান। ব্যবহারে বুঝা যায় ভদ্র
কতটুকু। সেই ভদ্রতা শুধু উপরে দেখা যায়।
অন্তরের খবর কেউ জানে না। তাছাড়া
তুমি শব্দটাতে আপন ও মধুর ভাব আছে।
আপনিতেও আছে। এখন যার যা ইচ্ছা।
> এত কিছু বুঝি না। আমি আপনিই ডাকব।
- ডেকো অসুবিধা নেই। (এসব কথা
আড়াল থেকে আবিদের মা শুনে
নিশ্চুপে বাসায় চলে গেল)
.
- এই শুন, মা বলেছেন তোমার রান্না
ভাল আছে। এখন ঘরের পুত্র বউ করা
যাবে।
> আমি ছোট থেকেই রান্না পারি।
- তাহলে তো আরও আগে বউ করা উচিত
ছিল। তাহলে এতদিনে মা দাদী
শব্দটাও শুনতে পেত।
> যাহ! দুষ্টু। না মানে যান দুষ্টু।
.
দুজনেই এক সাথে হেসে উঠল।
.
পরেরদিন আবিদের বাবা মা নিধির
বাসায় এসে নিধির বাবার কাছে
বিয়ের প্রস্তান দিল। নিধির বাবা
আবিদ ও নিধির ব্যাপারটা আগ থেকেই
জানে। শুধু অপেক্ষা ছিল পারিবারিক
সম্মতির। ব্যস আজ সেটাও হয়ে গেল।
.
ভাল থাকুক সকল ভালবাসা।
Friday, 16 September 2016
আপনি - তুমি
Labels:
Love Story
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment