আমার ফোনটা
বেজে উঠল।দেখি জয় কল করেছে।জয়ের
পরিচয় হল সে আমা চাচাতো ভাই।
ফোনটা রিসিভ করলাম।ফোনের ওপাশ
থেকে জয় বলল,
 -কিরে হিমু কেমন আছিস(জয়) 
 -তো আমাকে হঠাৎ কল দিলি যে কিছু
হইছে নাকি।
-না না তা এমন কিছু হয়নি।আজকে
তোকে আমার সাথে
একটা বিয়েতে যেতে হবে। -কার বিয়ে রে?
একটা বিয়েতে যেতে হবে। -কার বিয়ে রে?
-ওই আমার গার্লফ্রেন্ড আছে যে
নীলিমা তার বোনের বিয়ে আজকে।
 -কি বলিস আমাকে ইনভাইট করে নাই
নীলিমা।
 -আরে নারে ভাই আমাকে বলেছে
তোকে নিয়ে যেতে। 
-না আমি যাব না তোর ইনভাইটে আমি
কেন যাব
 -প্লিজ ভাইই চল।না হলে নীলিমা
অনেক কষ্ট পাবে।সে তোকে নিজের
ভাই ভাবে আর তুই যাবি না। 
-আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে ইমোশনাল
ব্ল্যাক মিল করতে হবে।কিন্তু ওর
ফ্যামিলি যদি জানতে পারে তাইলে
সমস্যা হবে না তো ভাই। 
-আমি আছি তোকে কিছু টেনশন করতে
হবে না আর নীলিমার কিছু ফ্রেন্ড
আসবে আমরা ওদের সাথে থাকব
তাইলে আর কেউ সন্দেহ করবে না।তুই
রেডি হয়ে নেয় আমি গাড়ি নিয়ে
আসছি তোর বাসার সামনে। 
-ওকে।
বলে ফোনটা রেখে রেডি হয়ে
নিলাম।৩০ মিনিট পর জয়ের কল।
রিসিভ করলাম হে আসছিস।হুম তুই বের
হো।ওকে ওয়েট কর আসছি।
তারপরগাড়িতে উঠলাম সামনের
সিটে বসলাম জয় গাড়ি ড্রাইভ করছে।১
ঘন্টার মধ্যে পৌছেঁ গেলাম।কথা
বার্তা হল নীলিমার সাথে। তারপর
খাওয়া দাওয়া করলাম।এইগুলো করতে
করতে ১ টা বেজে গেল কখন সেটা
লক্ষ্য করিনি।আমার মা কল দিয়ে বকা
দিচ্ছে।তাড়াতাড়ি করে বেড়িয়ে
পরলাম।কিছু দূর যাওয়ার পর দেখতে
পেলাম আর কিছু পরিমান গ্যাস আছে।
তাই জয় বলল গাড়িতে গ্যাস নিতে
হবে।
আবার দুইজনে গ্যাস পাম্পে
গেলাম গ্যাস নিতে তখন প্রায় ২টা
বাজে।গ্যাস নিলাম গাড়িতে।দুজনের
ঘুম আসছে।সামনে একটা চায়ের টং
দেখতে পেলাম।গাড়ি টা টং এর
সামনে রেখে ভেতরে ঢুকলাম।দেখি
দোকানের মধ্যে একটা আমাদের বয়সের
মেয়ে বসে আছে।
মেয়েটির বয়স ১৬-১৮
বছর হবে বলে মনে হচ্ছে।মেয়েটি
দেখতে খুব সুন্দর ছিল।আমাদের বসতে
বলল।কি খাবেন জিজ্ঞেস কররল।আমি
বললাম দুটো চা দেন তো।
মেয়েটি আমাদের দুটি চা দিল।আমরা
চা খাচ্ছিলাম।কিন্তু মেয়েটি
কিছুক্ষণ পর পর আমাদের দিকে
তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে আর কিছু
ইশারা করছিল।তারপর হঠাৎ একটি লোক
আসল সে মেয়েটি কে কয়েকটা ১০০
টাকার নোট দিল।অন্ধকার ছিল তাই
সম্পূর্ন দেখতে পেলাম না কত টাকা
দিল। মেয়েটি লোকটিকে একটা
সিগারেট দিল আর সে বলল আপনি যান
আমি আসছি।লোকটি দোকানের
পিছনে চলে গেল।আর মেয়েটি কাকে
ফোনে বলল, 
-দোকানে আসেন কাষ্টমার পাইছি।
তারপর দেখি একজন বুড়ো করে মহিলা
আসল।তারপর মেয়েটি ও দোকানের
পিছনে চলে গেল।
আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম
মেয়েটির দিকে। এখন বুঝতে পারলাম
মেয়েটি আমাদের কেন ইশারা
করছিল।আমার এই দৃশ্যটি দেখে চোখে
জল চলে আসল।
তারপর জয় চায়ের টাকা টা দিল
তারপর বাসায় চলে আসলাম। 
-
এই লেখা টি বাস্তব।এই মেয়েটির মত
অনেক মেয়ে আছে।যারা দেহ বিক্রি
করে বেচেঁ আছে।এখন সমাজের এই করুন
অবস্থা যে দেহ বিক্রি করে পেটের
ভাত জোগাড় করতে হচ্ছে��
No comments:
Post a Comment