সকালের মিঠে রোদ সামান্য উঁকি
দিচ্ছিল ৷ কেমন যেন জেগে উঠতে শুরু
করলো নগরীটা ৷ দোকানের নীচে
ঘুমিয়ে থাকা কুকুরটি অাড়মোড়া
ভাঙ্গতেছিল ৷ হোটেলের ছোট ছোট
কর্মচারীরা হোটেল ঝাড় দিচ্ছিল ৷ বড়
ক্লান্ত অার মায়াময় তাদের চেহারা
৷ সুরুজ রিকশার সিটে বসে সব
দেখতেছিল ৷ কিছুটা ক্ষুধা লাগছে
তার ৷ কিন্তু খেতে মন চাচ্ছে না ৷
সারাদিন প্রখর রোদে অাজ রিকশা
চালাতে হবে ৷ তবু তার ভালো
লাগছে এই ভেবে যে অায়শা সঙ্গে
থাকবে ৷
:
ঐ যে দেখতাছস ? ঐ খাম্বাটার সাথে
ছাপড়া ঘরগুলান ? এইটা হইলো হাজীর
হোটেল ৷ বেবাক রহমের ভাত মাছ
পাবি ৷ অামি দুপুরে এইহানে খাই ৷
বাবুর্চিটা যে কি মজা কইরা রান্ধে ৷
তুই খাইলে জীবনেও ভুলবার পারবি না
৷ তুই খাইবি ? অামি হাজী সাবরে
কমুনে ৷ যেদিন বোয়াল মাছের পেটি
রানবো হেইদিন যেন অামার লাইগা
একপেটি রাখে ৷ তোরে খাওয়াইয়া
অানুমনে ৷ হাজী সাব অামারে বড়
ভালবা...
:
:- ঐ খালি যাবা ? একজন প্যাসেঞ্জার
বলে উঠে ৷ সুরুজ বিরক্ত হয়ে কটমট করে
অাগন্তুকের দিকে তাকায় ৷ যাত্রী
কথা বলাতে অাছিয়া যেন কোথায়
চলে গেছে ৷ "অাচ্ছা , অায়শা এমন
ক্যান ? মানুষ দেখলেই কোথায় জানি
চইলা যায়" , সুরুজ ভাবতে ভাবতে
রিক্সায় প্যাডেল মারে ৷
:
দুপুরে রিক্সার হুড তুলে ঝিমুতে থাকে
সুরুজ ৷ ময়লা লুঙ্গীটা দিয়ে কপালের
ঘাম মুছে ৷ সকাল থেকে এই পর্যন্ত মোট
দুইশো উনিশ টাকা রোজগার হলো ৷
অায়শাকে দেখতে পায় সুরুজ...
:- অই , তুই কই যাস ? অামাকে বইলা যাস
না ক্যান ? জানস না ? দিনকাল বড়
খারাপ ? মানুষ তোর মতন সুন্দুরী মাইয়া
পাইলে বর্ডার পার কইরা ইন্ডিয়া
নিয়া বেইচা দেয় ৷ তুই তো গাধী ,
কিচ্ছু বুঝস না ৷ রিক্সা'ত উঠ ৷ বাসায়
যাবি না ?
:
সুরুজ রিক্সা অাবার চালায় ৷ গুনগুন করে
গান গাইতে থাকে ৷ পিছন ফিরে
অায়শাকে দেখতে থাকে ৷ টানা
চোখে কাজল দেয়া মেয়েটারে বড়
সৌন্দর লাগে ৷ ছোট্ট করে মাথায়
ঘোমটা দিয়েছে ৷ কালো চুলগুলো
থেকে সুগন্ধ তেলের সুঘ্রান পাওয়া
যাচ্ছে ৷ সব মিলিয়ে অাছিয়ার
দিকে যেই চাইবো চক্ষু ফিরাইবার
পারবো না...৷ মনে মনে ভাবে সুরুজ ৷
রিক্সা অবশেষে গ্যারেজের সামনে
দাঁড়ালো ৷ ঘাড় ফিরিয়ে সে দেখে
রিক্সায় অাছিয়া নেই ৷ "অাবার চইলা
গেলো ? অাবার অাসুক , ওর লগে
অামি কথাই কমু না.." বিড়বিড় করে
বলতে থাকে সুরুজ ৷
:
ছাপড়ার ঘরটায় সুরুজ প্রবেশ করে ৷ নির্দয়
শহরের বুকে তার অস্থায়ী অাবাসস্থল ৷
ঘরটাতে অাসলে কেমন যেন নিশ্চিত
বোধ করে সে ৷ ছোট কিছু পাতিল ,
একটা চৌকি , পুরনো অালমাড়ি , একটা
টাঙ্ক সহ বেশকিছু অাসবাবপত্র ৷
দেয়ালে খুব সুন্দর সুন্দর বাচ্চাদের
পোষ্টার ৷ নেংটু বাবুরা মাড়ি বের
করে হাসছে ৷ পোষ্টারগুলো কেনার
সময় অাছিয়া তার কানে লজ্জবনত
স্বরে বলছিল..."দেইখো...অামাগোর
এমন একটা বাবু হইবো...."৷ পোষ্টারগুলো
স্বযত্নে অাজো দেয়ালে টাঙ্গানো
অাছে ৷ শুধু অাছিয়া সবসময় সুরুজের
কাছে থাকে না ৷ সুরুজ কেমন অানমনা
হয়ে যায় ৷
:
তিন বছর অাগে ৷ সুরুজ তখন গ্রামে সবজি
বিক্রি করতো ৷ মা ভাই অার সুরুজ , মোট
তিনজনের পরিবার ছিল ৷ ভাইটা
পড়াশুনা করতো ৷ সুরুজের ইচ্ছা তাকে
জজ বানাবে ৷ মা অনেকদিন ধরে
বলতো..."বাজান , একটা বিয়া করো ৷ এই
শইলে নিয়া তো অার অত কাম করতে
পারি না ৷ অহন তো নাতিপুতি নিয়া
থাহনের সময় ৷ তোমারও তো বয়স পার
হইতাছে ৷ অামি কই কি , তুমি বিয়া
কইরা ফালাও" ৷ মরিয়ম বিবি তখন
ঘটকের শরনাপন্ন হলেন ৷ ঘটক জালু মিয়া
গোটা দশেক ছবি মরিয়ম বিবিকে
দেখান ৷ তার ভিতর অাছিয়াকে তার
বেশ ভালো লাগে ৷
:
ঘটা করে মেয়ে দেখা হলো ৷ সুরুজের মৃদু
অাপত্তি সত্ত্বেও সুরুজকে জোর করে
নিয়ে যাওয়া হল ৷ অাছিয়ার পরিবার
তেমন বড়লোক না ৷ দিনে অানে দিনে
খায় অবস্থা ৷ সুন্দরী হয়াতে বখাটেদের
জ্বালায় মেয়েকে তাড়াতাড়ি
বিয়ে দিতে চাচ্ছেন বাবা মা ৷ শুভ
কাজটা সম্পন্ন হতে বেশি দেরী হয় না
৷ মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহেই সুরুজের
বাড়ীতে পদার্পন করে অাছিয়া ৷
:
দিনগুলো কেমন যেন স্বপ্নময় ছিল ৷
কমবয়সি লাজুক মেয়েটি কথা খুব কম
বলতো ৷ সারাদিন তরকারি বেচার পর
সুরুজ যখন ফিরতো তখন একহাড়ি গল্প
নিয়ে ফিরতো ৷ সারাক্ষনই কথা বলতে
চাইতো....৷ শোন বৌ , অাইজ কি হইছে
শুনবি ? মিঞা বাড়ীর অামজাদ মিয়ার
ছোট ছাওয়ালরে দেখছি বিড়ি
টানতাছে ৷ অামি কইষ্যা চড়
লাগাইলাম ৷ হারামজাদা , বিড়ি
টানবি তো টান ৷ বড় ছোট মান্যগন্য
করবি না ? ঠিক করছি না ? কাসেমের
চা'র দোকানে অাইজকার পেপার
পরছি৷ গাদ্দাফিরে নাকি গুল্লি কইরা
মারছে ৷ শালার কি মরন দেখছস ? কহন কই
থেইক্যা অাসে কেউ কইবার পারে না
৷ গাদ্দাফিরে চিনস ? ইয়া মাবুদ ! চিনস
না ? স্কুলে কি শিখাইতো তোরে ?
শোন অামি কই ৷ ম্যালা দূরে একটা
দে.......৷
:
দিনগুলো অাস্তে অাস্তে কেমন যেন
বদলে যাচ্ছিল ৷ বাজারের
প্রভাবশালীদের সাথে সুরুজের
বিরোধ হয় ৷ সুরুজের ছোট তরকারির
দোকানটা ভেঙ্গে দেয়া হয় ৷ কেউ
কেউ হুমকি দেয় ৷ জানে মেরে ফেলবে
৷ ইতিমধ্যে অায়শা একটা মৃত সন্তান জন্ম
দেয় ৷ মরিয়ম বিবি সেটা নিয়ে সকাল
বিকাল খোঁটা দেয় ৷ সুরুজ সিদ্ধান্ত
নেয় ৷ গ্রামটা ছেড়ে অাপাতত শহরেই
যাবে ৷ একসকালে অায়শা অার বড়
একটা ট্রাঙ্কে প্রয়োজনীয় চিনিসপত্র
গুছিয়ে সুরুজ পাড়ি জমায় শহরের বুকে ৷
:
হটাৎ করে ফোনের রিংটোনের শব্দে
সুরুজ কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে
অাসে...৷ ফোন রিসিভড করার পর
মায়ের গলাটা চিনতে পারে ৷
:- বাজান কেমন অাছোস ?
:- অামি ভালা অাছি মা ৷ তুমি কেমন
অাছো ? শাহেদ ভালা অাছে ?
:- হ , সবাই ভালা অাছি ৷ বাজান , তুই
কেন বস্তিত পইড়া অাছোস ? অার ক্যান
রিকশা চালাস ? শাহেদ তো ভালা
চাকরি পাইছে ৷ অহন তো তুই অামরার
লগেই থাকবার পারস ৷ দেশে অায় ,
একটা বিয়া কর অার অামারে শান্তি
দে ৷
:- ইতা কি কও মা ? অায়শারে থুইয়া
অামি ক্যামনে বিয়া করি ?
:- অাইজ দেড় বছর হইতাছে অায়শা
মরছে ৷ অহনও তুই পাগলামি করবি? মরিয়ম
বিবি রাগত স্বরে বলেন ৷ ফোনের অপর
প্রান্ত নীরব হয়ে যায় ৷ কিছুক্ষন কথা
বলেনা সুরুজ ৷ তারপর ধীরে ধীরে
বলে....
:- অায়শা মরে নাই অাম্মা ৷ কই মরছে ?
সারাদিনই তো হেরে দেহি ৷ অামার
সামনে পিছনে ঘোরে ৷ মরলে কি
হেরে অামি দেহি ? না , মরছে না ৷
অাইজো বাঁইচা অাছে ৷ অাইজকাই
তো অামার রিক্সায় বইসা অাছিল ৷
অাম্মা জানো ? অায়শা অামার লগে
ক্যান জানি কথা কয় না....
:-চুপকর বাজান চুপকর ৷ অার কথা বলিস
না ৷ তোর মাথা ঠিক নাই ৷ কি কইতাছস
একবার ভাইবা দ্যাখ ৷ কান্নাজড়িত
কন্ঠে বলে উঠলেন মরিয়ম বিবি ৷
:- অাম্মা , অামি অহন ফোন রাখি ৷
দরজায় অাওয়াজ হইতাছে ৷ অায়শা
অাইছে ৷ খুশিতে ঝলমল হয়ে উঠে
সুরুজের কন্ঠ ৷
:
সুরুজ তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে ৷
তারপর দেখে অায়শা দাড়িয়ে অাছে
৷ মনের খুশিটা ভেতরে চেপে রেখে
সুরুজ বলতে থাকে ৷ "তুই অাসছোস ? না ,
তোরে ঘরে ঢুকতে দিমু না ৷ প্রতিদিন
তুই অামারে রাইখা যে কই যাস ৷
অামি অার তোর লগে নাই ৷ খাড়াইয়া
রইছস ক্যারে ? যা ঘরে ঢুক ৷ কইছি বইলাই
কি বাইরে খাড়াইয়া থাকবি? ৷
পাশের ঘরের ভ্যানচালক মোবারকের
বৌ তরকারি কাটার সময় সুরুজের দিকে
তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ৷ তারপর
বিড়বিড় করে বলতে থাকে..."অাহা ,
কি মানুষটা কি হইয়া গেলো" ৷
:
ঘরের দরজা বন্ধ করে সুরুজ অায়শার
দিকে তাকায় ৷ অায়শা নীরবে
বিছানার কোনে বসে অাছে ৷ তার
ঠোঁটে রহস্যময় হাসি ৷ সুরুজ এগিয়ে যায় ৷
তারপর অাবার বলতে থাকে..."ক্যান তুই
এমন করছ ? অামি কি দোষ করলাম বল ৷ তুই
কেন অত দূরে দূরে থাকস ? সবাই কয় ,
অামি নাকি পাগল হইয়া যাইতেছি ৷
অামার মাথা নষ্ট হইয়া যাইতেছে ৷
অাচ্ছা....সত্যি কি অামি পাগল হয়ে
যাইতেছি ? তোরও কি তাই মনে অয় ?
অায়শা উঠে অাসে ৷ তারপর ইঙ্গিত
করে সুরুজকে , বিছানায় শুতে ৷ সে
জানে....অায়শা এখন মাথায় হাত
বুলিয়ে দেবে ৷ তারপর চলে যাবে
কোথাও ৷ কোথায় সেটা সুরুজ জানে
না ৷
:
নরম শীতল হাতের স্পর্শ অনুভব করে সুরুজ ৷
ধীরে ধীরে তার চোখের পাতা
ভারী হয়ে অাসছে ৷ সে প্রানপনে
চেষ্টা করছে না ঘুমাতে ৷ গত দেড় বছর
অাগের ঘটনা তার চোখের সামনে
অাবার ভেসে উঠে ৷
:
এক বিকেলে গাড়ি থেকে শহরের বুকে
নামে সুরুজ অার অায়শা ৷ অাগে
থেকে ঠিক করা ছোট ছাপড়া ঘরে
অাশ্রয় নেয় ৷ প্রত্যেহ সকালে সুরুজ বের
হতো ,গ্যারেজের ভাড়ায় রিক্সা
নিয়ে ৷ অক্লান্ত পরিশ্রম করে সন্ধ্যায়
বস্তিতে ফিরতো ৷ মা ভাই অার
তাদের বেঁচে থাকার জন্য জীবিকার
তাগিদে তাকে সবসময় তটস্থ থাকতে
হতো ৷ তবু দিনগুলো মন্দ কাটতো না ৷
ভালবাসার মানুষটি এক নিবিড় বন্ধনে
যে তাকে অাবদ্ধ করে ফেলেছিল ৷
সুরুজ ভালবাসার এক অসীম সুখের সন্ধান
পেলো ৷ তাদের অনাগত সন্তান
অাসার সময় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে
অাসছিল ৷ অার কয়দিন পরই অায়শাকে
মায়ের কাছে পাঠাবে , ভাবছিল
সুরুজ....৷ কিন্তি হটাৎই সবকিছু কেমন যেন
উলট পলট হয়ে গেলো ৷
:
বিকেলে তার ফোনে বস্তি থেকে
মোবারক ফোন দিলো ৷ সে যেন জলদি
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে
অাসে ৷ দুরুদুরু বুক নিয়ে সুরুজ
হাসপাতালে যায় ৷ তারপর দেখতে
পায় রক্তে মাখামাখি হয়ে মৃত
অায়শা পরে অাছে ৷ ঘাতক ট্রাক
চাপা দিয়ে অায়শা অার তাদের
অনাগত সন্তান দুজনকেই দুনিয়া থেকে
সরিয়ে নিয়েছে ৷ অায়শার মুখটা মৃত
অবস্থাও সজীব লাগছিল ৷ যেন এখনি ঘুম
ভেঙ্গে ছোট্ট করে একটা মুচকি হাসি
দিয়ে তীর্যক দৃষ্টিতে সুরুজের দিকে
তাকাবে ৷ সুরুজ বিশ্বাস করতে পারছিল
না অায়শা মৃত ৷ এ হতে পারে না ৷ কবর
দেয়ার পরও বিশ্বাস হয় নি ৷
:
এরপর কিছুদিন কেটে যায় ৷ উদভ্রান্ত
সুরুজ অসহনীয় যাতনায় যখন তার প্রতিটি
রাত পার করতো তখন হটাৎ করে যেন
অায়শা ফিরে অাসে ৷ সুরুজ দেখে ,
সেই মেয়েটি তার কাছে দাঁড়িয়ে
অাছে ৷ সবাইকে ডেকে দেখায় সুরুজ ৷
অায়শা মরে নি , সে বেঁচে অাছে ৷
কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না
৷ কেউ দেখতে পায় না অায়শাকে ৷
কেউ শোনে না তার অাকুতি ৷ সবাই
বলে সুরুজ পাগল হয়ে গেছে ৷ অায়শা
তো মরে গেছে ৷ সে কি অার ফিরে
অাসতে পারবে ? কিন্তু সুরুজ অাজো
বিশ্বাস করে ৷ অায়শা মরে নি ৷ সে
অাছে ৷ লজ্জাবনত মেয়েটি প্রায়ই তো
সুরুজের কাছে অাসে ৷
:
রাত গভীর হলো ৷ ঘুম ভেঙ্গে সুরুজ
অায়শাকে খোঁজে ৷ কিন্তু শিয়রে
বসে থাকা সেই মিষ্টি মেয়েটিকে
সে দেখতে পেলো না ৷ দমকা
বাতাসগুলো রাতের অন্ধকার ভেদ করে
জানালার ফাঁক গলে ঘরে প্রবেশ করছে
৷ চোখ বন্ধকরে সুরুজ কিছু একটা অনুভব করে
৷ ধীরে ধীরে দরজা খুলে বাইরের
অন্ধকারে পা রাখে ৷ অাবছা একটা মুখ
দৃশ্যমান হয় ৷ বড় চেনা সেই মুখখানি ৷
সুরুজের গন্ডবেয়ে পানি নামতে
থাকে ৷ সে কান্নাজড়িত চোখে
অাকাশের পানে তাকায় ৷ সৃষ্টার
কাছে বিড়বিড় করে কিছু বলে ৷ হয়ত
চেনা মানুষটার জন্য......
Friday, 16 September 2016
স্বপ্নভাঙ্গার গল্প
Labels:
Love Story
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment