>>>>ক্লাস শেষে কলেজ থেকে এই মাত্র
বেরিয়েছে আকাশ আর আনিকা,,,,,
~আকাশ- চল আনিকা আজ কোথা ও
ঘুরতে যায়,,""
~আনিকা- না আমি যাবো না,,,,
~কেনো,,""?
~আমি কেনো তোর সাথে ঘুরতে
যাবো ? আমি কি তো গার্ল ফ্রেন্ড
নিকি,,,,
~আজ হঠাৎ এই রকম কথা,,,,""
~এমনিতেই মনে হলো তাই বললাম,,,,
~সব সময় তো যাস আজ গেলে কি এমন
ক্ষতি হবে বল,,,,""
~না,আমি সিদ্ধান্ত নিছি আজ থেকে
তোর সাথে কম ঘোরাঘুরি করব,,,,
~ওহ তাই নিকি, আচ্ছা ঠিক আছে,,,,""
আকাশ আর আনিকা খুব ভালো বন্ধু, সেই
ছোট থেকে একসাথে এক স্কুল আর এখন
একই কলেজে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে
পরছে দুজন,আকাশের বাবা ব্যবসায়ী,
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আকাশ,
আনিকা ও বাবা মায়ের আদরের
একমাত্র সন্তান,আনিকার বাবা
ব্যাংকার,,,,
সারাদিন খুব মন খারাপ
আকাশের,বাসায় বসে বসে ভেবেছে
কেনো তার সাথে আজ আনিকা এমন
করলো,,
রাত ১১.৩০"
বাসা থেকে কিছুক্ষন আগে বাইরে
এসেছে আকাশ,কল দিলো
আনিকাকে,,,,,,
~আনিকা-হ্যালো ,,,,?
~আকাশ -কি করিস,,""?
~তুই ছাগল জানতাম,,কিন্তু কবে যে
পাগল হইছিস জানতাম নাতো,,
~ওই ভালো ভাবে কথা বল,,"'
~এর থেকে ভালো আর কি কথা বলব
তোর সাথে ? রাত বাজে ১১.৩০ বাজে
কল দিয়ে বলছিস কি করি ? আমি শুয়ে
পড়েছি এখনই ঘুমাবো ফোন রাখ,,,,
~না রাখবো না,,আর হ্যা একটু
জানালার কাছে আয় তো,,,, ""
~মানে কি ,,,,?
~আমি তোর বাসার সামনে দাঁড়িয়ে
আছি তোকে এখন অনেকক্ষন ধরে দেখব
তাই,,,,""
~না, আমি আসব না,,,,,
~তুই না আসলে আমি সারারাত
এখানে দাঁড়িয়ে থাকব,,,,""
~তোর ইচ্ছা,আমি ঘুমালাম টাটা,,,,,,
রাত ১১.৫৮
আনিকার বাসার সামনে এখনো
দাঁড়িয়ে আছে আকাশ,আবার কল
দিলো আনিকাকে,৩ বার কল হলো
ধরলো না আনিকা,৪ বারের বার,,,,,,,,
~আনিকা- হ্যালো ?
~আকাশ- কিরে আসবি না,,,,""?
~মানে কি ? তুই কি এখনো দাঁড়িয়ে
আছিস ?
~হুম,দরকার হলে সারারাত দাঁড়িয়ে
থাকবো,,,,""
~ উফ,,,, দাঁড়া দাঁড়া আমি বারান্দায়
আসতেছি,,,,,,, আসলাম কি বলবি বল ?
~দেখতো কয়টা বাজে,,,,?
~ ১২ টা
~ শুভ জন্মদিন,,,, ""
~ওহ তাইতো,ইস আমি তো ভুলেই
গেছিলাম,অনেক ধন্যবাদ তোকে,,
~হুম,তুই তো সব কিছুই ভুলে যাস,,,,""
~না,সকালে তো সাথে ঝগরার কথা
ঠিক মনে আছে,,আর তার পর ও তুই এই রকম
করলি,,,,সত্যি তুই অনেক ভালো,,,,,,,,
পরের দিন,কলেজের মাঠে বসে আছে
আকাশ আর আনিকা,,,,
~আকাশ-আচ্ছা আনিকা তুই আমার
সাথে এমন করিস কেনো,,""?
~আনিকা- কি করি আমি তোর সাথে,,?
~এই যে কেমন কেমন,,,, ""
~কি,,??এই প্রশ্নটা আমি তোকে করব করব
করে অনেক দিন ভাবছিলাম,কিন্তু তুই
কস্ট পাবি তাই করতে পারি নাই,,
~মানে কি ,,,, ""
~তোর ভাব যেন আমার কাছে কেমন
কেমন লাগে,ভুলে যাবি না তুই আর
আমি কিন্তু খুব ভালো বন্ধু,তোকে
কিন্তু আমি অল্প অল্প ভাইয়ের মতো ও
জানি,,,,
~ওহ তাই নিকি,,,,""
~হুম,আর হ্যা তোকে তো আমার বয়
ফ্রেন্ডকেই দেখানো হয়নি,,বলতে
বলতে আনিকার হাতে থাকা
মোবাইলটা আকাশে সামনে ধরে
আনিকা বললো, দেখ ওর ছবি,,,,,কিন্তু
না,আকাশ মোবাইলের দিকে না
তাকিয়েই কোন কথা না বলে ওখান
থেকে চলে গেলো,,,,,,
কয় দিন ধরে আনিকার মন খুব খারাপ,৫/৬
দিন আকাশের সাথে তার কোন
যোগাযোগ নেই,কলেজে দেখা
হয়েছিলো কিন্তু আকাশ কথা বলেনি
এড়িয়ে চলেছে তাকে আর মোবাইলে
হাজার বার কল দিছে কিন্তু আকাশ
তার কল রিসিভ করেনি,,,,আনিকা
বুঝতে পারছে যে সে আকাশের সাথে
বেশি করে ফেলেছে,আকাশকে একটা
ম্যাসেজ দিলো,,,,
(কাল বিকাল ৪ টায় পার্কে আসবি
আমি কিন্তু অপেক্ষায় থাকবো )
বিকাল ৪ টা,,
আনিকা পার্কে বসে আছে,ভাবছে
আকাশ আসবে কিনা,ভাবতে ভাবতে
আকাশ চলে আসলো,,,,
~আনিকা-তুই আমার সাথে এই রকম
করছিস কেনো আকাশ,,,,?
~আকাশ-কি রকম,, ""?
~দেখা হলে কথা বলিস না,আমার
দিকে তাকাস ও না,ফোন দিলে ধরিস
না,,,,
~এমনিতেই,,,, ""
~তুই জানিস না আমি তোর সাথে কথা
না বলে থাকতে পারি না,,
~তোর তো আমাকে কেমন কেমন মনে হয়
আর তোর তো বয় ফ্রেন্ড ও আছে,,,,""
~আমি তো তোর সাথে মজা করি,আর
সেদিন ও মজা করছি,আর তুই তো সেদিন
ছবিটা না দেখেই চলে গেলি,,,,ওই টা
তোর ছবি ছিলো আর আমি তোকে খুব
খুব বেশি, নিজের থেকে ও বেশি
ভালোবাসি,,,,,
~হুম,আমি ও তোকে ভালোবাসি,আর এই
কদিন অনেক কস্ট করে হলে ও তোকে
এড়িয়ে আর তোর সাথে কথা না বলে
থেকেছি তো মুখ থেকে এই কথা গুলা
শোনার জন্য,,,,,,,
তার থেকে প্রতিদিন তাদের ভিতর
মান অভিমান হলে ও কিছুক্ষন পর সব ভুলে
যেতো,,দুজন দুজনকে ভালোবাসে
নিজের থেকে ও বেশি,আর
সত্যিকারের ভালোবাসায় একটু
অভিমান তো থাবেই,,,,,,,<<<<
Saturday, 17 September 2016
মিস্টি প্রেম
বন্ধুত্ব অতঃপর ভালবাসা
কেন??
কথাটা শুনে চমকে উঠলো আরাফ। সে
মনোযোগ
দিয়ে তার অতিপ্রিয় ডাইরি লিখছিল
হুট করে
রাফা ঘরে ঢুকে গেলে একটু অপ্রস্তুত
হয়ে দ্রুত
ডাইরিটা পিছনে লুকিয়ে নিল।
আধ ঘন্টায় প্রেম,অতঃপর বিয়ে...
গাঞ্জা টানিনাই”
আমি হাসিমুখে লোকটার দিকে
তাকিয়ে দশটি টাকা বাড়িয়ে
দিলাম।কিন্তু লোকটা অনেকক্ষন নিশ্চুপ
থেকে টাকার দিকে তাকিয়ে
থেকে আমার দিকে বিমর্ষ চাহনী
দিলো।আমি তাই টাকাটা আবার
পকেটে ঢুকিয়ে তাকে মিষ্টি হাসি
উপহার দিলাম।
রাত্রি
সাথে আমার সংসার ডিশমিশ, তখন
আমার কেন যেন কষ্ট হয়নি।একটুও না।
কারণ আমি এমন কিছু করিনি যাতে
সংসার টিকিয়ে রাখা সম্ভব।আমি
এতটাই Careless ছিলাম,
যে মনে পড়েনা
শেষ কোন বিবাহবার্ষিকী অথবা তার
জন্মদিনের মত বিশেষ কোন দিনে তার
হাতে হাত রেখে বলেছিলাম শুভ
যেদিন লাবণী কেঁদেছিল
একটু আগে লাবনী গেলো । রিকশায়
করে , লাল জামা পড়ে । প্রতিদিনই
অরণ্য দারিয়ে থাকে লাবনীকে এক
ঝলক দেখার আশায় । তবে ভাব করে
যেন কোথাও যাচ্ছে । এই নিয়ে ৭ম বার
হল , মুখ ফুটে "কোথায় যাও" ছাড়া আর
কিছু বলতে পারলনা । অনেক কিছু বলার
ছিল লাবনীকে , এক ঝলক দেখলে অরণ্য
মন কেমন অশান্ত হয়ে উঠে ।
অশান্তিকে তো খারাপ লাগার কথা ।
কিন্তু এই অশান্তিকে অরণ্যর ভালই
লাগে । কেমন যেন একটা মধুর জ্বালাতন
থাকে সারাটাদিন । হয়ত একেই
ভালবাসা বলে।
আজ পহেলা বৈশাখ , ১৪ই এপ্রিল ।
হিসাবমতে আজ বাংলা নববর্ষ । কিন্তু
এই দিনকে আজকাল কেন জানি অরণ্যর
কাছে ভ্যালেন্টাইন্স ড্যা এর মত মনে
হয় । মা - বাবার চোখ ফাকি দিয়ে
মেয়েরা লাল শাড়ি পড়ে আর
ছেলেরা পাঞ্জাবি পড়ে রিকশায়
করে ঘুরাঘুরি করে । এই দিনে আপনি
রিক্সার দিকে তাকান , দেখবেন ৪টা
রিক্সার মধ্যে ৩টাতেই একজন তরুন এবং
একজন তরুনি হাত ধরে একজন আরেকজনের
দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।
দুইজনের চোখ দিয়েই অনেক কথা বলা
হয়ে যায় । সব প্রেম প্রকাশ হয়ে যায়
চোখের পাতায় বেড়িয়ে আসার
আপ্রান চেষ্টায় থাকা দু ফুটা চোখের
জল । এই প্রমের দৃশ্যগুলা দেখতেও একটা
অন্যরকম আনন্দ আছে । কেও মনে হয় সত্যি
ই বলেছেন " প্রেম স্বর্গ থেকে আসে " ।
অরন্য তাই এই দুই নম্বর ভালবাসা
দিবসকেই ভালবাসা নিবেদনের জন্য
পছন্দ করে নিলো । সে হ্যা করুক আর নাই
করুক । অরন্যর হাতের লাল গোলাপ ছুড়ে
মারুক মুখের উপর , বাম হাত দিয়ে সবার
সামনে চড় মারুক তবুও শুধু লাবনীকে
জানাতে চায় যে এই পৃথিবীতে একজন
আছে যে তার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত
লাবনীকে ভালবাসবে । বুকের
গভিরোতম অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হবে শুধু
তার ভালবাসার জন্য ।
লাবনীকে অরন্য হয়তো কখনও ভালবাসি
বলত নাহ । ওর ভয় যদি লাবণী ওকে ভুল
বুঝে ? ও যদি বলতে না পারে যে ও
লাবনীকে কি রকম ভাবে ভালবাসে
তাহলে তো ওর প্রেম বৃথা যাবে ।
হয়তো লাবণী বুঝবেনা অরন্যের এই
হৃদয়ের প্রতিটি হৃদস্পন্দন কেমন করে
ভালবাসি ভালবাসি করে হাহাকার
করে । কিন্তু সেদিন আমি ওকে বললাম
যে এইরকমে লুকিয়ে লুকিয়ে আর কতদিন
ভালবাসবি ? এই রকম "কেহ দেখিবে না
মোর গভির প্রণয় , কেহ জানিবে না
মোর অশ্রুবারিচয় " আর কত করবি ? গিয়ে
বলে দে না গাধা । এত ভয় কিসের ?
অরন্যঃ "কিন্তু তানিয়া , ও যদি না
করে তাহলে ?"
আমি বললাম (তানিয়া) "না করলে
করবে । কিন্তু মনের কথা এর জন্য গোপন
রাখবি?"
অরন্যঃ "তর কথাও ঠিক । বলতে হবে
আমাকে । আমার প্রেম সত্যি হলে অবশ্যই
হ্যা করবে । "
এই হল অরন্যর প্রেম নিবেদনের সাহসের
জোগান । জোগানদাতা হলাম আমি ,
তানিয়া ।
" আমি তোমাকে ভালবাসি" , পৃথিবীর
মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলা কথা ।
সবচেয়ে কঠিন কথাও মনে হয়। এবং
অবশ্যই সবচেয়ে সুন্দর কথা । যতই ভালবাস
না কেন , ভালবাসি বলা ততটাই কঠিন
। যত বেশি ভালবাস, তত বেশি
হারানোর ভয় । আজকের জন্য অরন্যর সব ভয়
দূরে থাক । আজকে অরন্যকে বলতেই হবে ,
হয়তো কাল কখনো আসবেনা ।
লাবনীকে দেখা যাচ্ছে । পুকুরের স্বচ্ছ
পানিতে নৌকায় পা দুটো দুলিয়ে
খিলখিলিয়ে হাসছে । কতো সুন্দর
হাসি । শুধু এই হাসিটা সারাজিবন
দেখার জন্য অরন্য নিজের জীবন দিয়ে
দিতে পারবে । এই হাসির জন্য অরণ্যর
জীবন দিতেও কনো আফসোস নেই । অরণ্য
পাঞ্জাবির পকেট থেকে লাল
গোলাপটা বের করল । লাবণী এখন
নৌকা থেকে নামল । অরন্যকে এখন সেই
তিনটা শব্দ বলা লাগবে । লাবণী
নৌকা থেকে নেমে ধীরে ধীরে
এগিয়ে আসছে মাঠের সবুজ ঘাসের উপর
দিয়ে । গোলাপ হাতে নিয়ে অরণ্যও
আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে লাবনীর
দিকে । ধুপপপপ !!! কাহিনিতে নতুন
চরিত্রের প্রবেশ ! রোহিত ।
লাবণী অরণ্যর কাছাকাছি আসার
আগেই রোহিতের হাত ধরে চলে
গেলো । হয়তো একেবারেই চলে
গেলো । অরন্যর হাতের লাল গোলাপ
নিচে পড়ে গেলো । শরীর ভরশুন্য হয়ে
গেলো । গোলাপটা তুলতে চাইল অরণ্য ।
আর যাই হোক প্রথম প্রেমের প্রথম
গোলাপ তো । লাবণীকে ভালবাসার
স্মৃতি জড়িয়ে আছে এতে । হয়তো এই
গোলাপ নিয়েই সারাজীবন বেঁচে
থাকতে হবে , সারাজীবন ।
তিন দিন পরঃ
তো কি হয়েছে লাবণী অন্য কাওকে
ভালবাসে ? অরণ্যও বাসে । সবচেয়ে
বেশি বাসে । লাবণী অন্য কাউকে
ভালবাসে তারমানে এই না যে
অরন্যকে ভুলে যেতে হবে । অরন্যর
ভালবাসা অরন্য অবশ্যই প্রকাশ করবে ।
লাবণী হ্যা করুক আর নাই করুক , শুধু
জানাতে চায় যে এই পৃথিবীতে অরন্যর
শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত অরন্য লাবনীকে
ভালবাসবে । প্রেম নিবেদনের জন্য
সেই সাহস এখন আর অরন্যর মনে নেই । তাই
এক বোতল ভোদকা গলাধঃকরণ করলো ।
অরন্য এখন লাবনির দুইতালা বাসার
বারান্দার গ্রিলে ধরে দাঁড়িয়ে
আছে । চোখ লাল হয়ে আছে , মাথার
চুল উশকোখুশকো হয়ে আছে । হাত এবং
শরীর ক্রমাগতভাবে কাপছে ।
যেকোনো সময় পড়ে যেতে পারে
দুইতালা থেকে নিচে । আগে থেকে
কুড়িয়ে আনা ঢিল লাবনীর কাছের
আলমারিতে মারলো । সরাসরি
লাবনীর গায়ে মারতে পারতো কিন্তু
লাবনীকে আঘাত করা অরন্যর পক্ষে
সম্ভব না । লাবণী ঘুম থেকে উঠলো ।
তারপর চিৎকার দিতে গিয়েও মুখ
সামলিয়ে আস্তে আস্তে বারান্দায়
চলে আসল ।
লাবনিঃ এত রাতে বারান্দায়
ঝুলতেছ কেন ? সমস্যা কি ?
অরন্যঃ সমস্যা একটাই । তোমার কথা
কখনই ভুলতে পারি না ।তোমার প্রেমে
পড়ে গেছি । যেখানেই তাকাই শুধু
তুমি আর তুমি । যেখানেই যাই শুধু
তোমার হাত খুঁজি ধরার জন্য । পড়তে
বসলে তোমার কথা মনে পরে । আর যখন
সবকিছু বাদ দিয়ে ঘুমাতে যাই তখন
তুমি স্বপ্নে এসেও হানা দাও । এসে
সেই ভুবন ভুলানো হাসি দাও আমার
দিকে তাকিয়ে , আমি তো তখনই
প্রেমে পড়ে যাই ।
লাবণীঃ অরন্য তুমি জানো রোহিতের
সাথে আমার রিলেশন আছে । তাহলে
এই পাগলামির মানে কি ?
অরন্যঃ কারন আমি তোমাকে
ভালবাসি । ওই রোহিত থেকে অনেক
বেশি ভালবাসি । সবার থেকে বেশি
। তোমাকে প্রথম দেখাতেই প্রেমে
পড়ে যাই । তুমিই প্রথম প্রেম , তুমিই শেষ
।
লাবনিঃ প্রথম প্রেম বলতে কিছু নেই ।
প্রেম বারবার হতে পারে ।
অরন্যঃ তাও ঠিক । আমার জীবনে প্রেম
একটাই । কিন্তু ফিরে আসে বারবার ।
যতবার তোমাকে ভুলে যেতে চাই ,
ততবার আরো বেশি করে প্রেমে পড়ি ।
লাবনিঃ অরণ্য , তুমি আমার ভাল বন্ধু ।
তোমার ভালর জন্যই বলছি । আমাকে
ভালবেসে কোন লাভ হবে নাহ । শুধু
কষ্টই পাবে । তাই ভাল হয় যদি ভুলে
যেতে পারো ।
অরন্যঃ দি লাভ ক্ষতি হিসাব করে
প্রেমে পড়তাম তাহলে তো আর
তোমাকে ভালবাসতাম না । তোমার
ওই চোখ দুটা , ওই হাসিটা আমাকে
প্রেমে ফেলে দিয়েছে । এই প্রেম
থেকে আমি কি পাব তা কখনো
চিন্তা করি নি । চিন্তা করতে চাইও
না । আমি শুধু জানি যে লাবণী
নামের একটা মেয়েকে আমার
জীবনের সব প্রেম , ভালবাসা দিয়ে
দিয়েছি । পারলে আমার এই জীবনটাও
দিয়ে দিতাম । একবার এই প্রান চেয়ে
দেখো , জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে
তোমার হাতে এই প্রান তুলে দিব ।
লাবনিঃ বাসায় গিয়ে একটা ঘুম দাও
। সকালে উঠে দেখবে সব পাগলামি
চলে গেছে । এই এইজে প্রেম হয় না ,
এটা শুধু কিছুদিনের ইমোসন । কয়েকদিন
পরে চলে যাবে ।
অরন্যঃ ( লাফ দিয়ে নিচে নেমে ,
চিৎকার করতে করতে ) লাবণী , শুধু
জানাতে এসেছিলাম আমার মনের
কথা । শুধু জানাতে এসেছিলাম যে এই
পৃথিবীতে কেউ একজন তার শেষ
নিশ্বাস পর্যন্ত তোমাকে ভালবাসবে ।
তুমি চাও না চাও আমি তোমাকে
ভালবাসব । এর কারন এই না যে অন্য
কোন মেয়ে পাই না । এর কারন এই যে
তুমি আমার প্রথম প্রেম , এবং শেষ । মরার
আগ মুহূর্তেও বলব "লাবণী আমি
তোমাকে ভালবাসি" , আই প্রমিস ।
লাবনিঃ টাটা।
অরন্যঃ নেভার স্যা নেভার লাবণী ।
এই জীবন অনেক বড় । একবার না একবার
তো দেখা হয়েই যাবে ।
তিন বছর পরঃ
আমরা পিকনিকে যাচ্ছি । কক্সবাজার
থেকে এখন সেন্ট মার্টিন যাচ্ছি । ৩০
জন ছাত্রছাত্রী এবং ২০ জন শিক্ষক ।
সাথে আমি, অরণ্য , রোহিত এবং
লাবণী । হ্যা , লাবনীকে অরণ্য এখনো
ভালবাসে । এখনো লাবনীর
রোহিতের সাথে সম্পর্ক আছে । কিন্তু
এখন আরো অনেক বেশি ভালবাসে ।
এখনও এক মুহূর্তের জন্য লাবণী অরণ্যর মন
থেকে যায় না । ও অরন্যকে ভালবাসুক
না বাসুক অরণ্যর ভালবাসা দিন দিন
বেড়েই যাচ্ছে ।
রোহিত আর লাবনীকে দেখা যাচ্ছে ।
লঞ্চের ছাদের উপর । ওরা
টাইটানিকের পোজ দিতে চাইছে ।
অরন্য আমাকে বলল " গাধায় এটাও
জানে না যে টাইটানিকের পোজে
ছেলেকে পিছনে দাড়াতে হয় " ।
আরে ওরা কোথায় যাচ্ছে ?
একেবারে লঞ্চের উপরের ছাদে চলে
গেলো ওরা । কেউ নেই ওইখানে ।
জায়গাটা একটু বিপদজনক ।
লাবনীর হাত ধরে রোহিত একবার ওকে
ঘুরাল । ওরা নাচছে । আস্তে আস্তে
নাচার গতি বাড়তে থাকল । রোহিত
লাবনীর হাত ধরে ঘুরিয়ে বামদিকে
নিলো তারপর অন্যহাত দিয়ে আবার
সামনে আনলো । তারপর একহাত দিয়ে
দূরে ঠেলে দিয়ে আবার কাছে
আনলো । কাছে এনে লাবনীকে
কোলে নিতে চাইলো । রোহিত
ভারসাম্য রাখতে পারলনা । রোহিত
ধাক্কা খেয়ে পিছনে সরে গেলো ।
তারপর রোহিত ঘুরে গেলো । ওর সামন
চলে গেলো রেলিঙের দিকে ।
লাবণী এখনও রোহিতের কোলে ।
রেলিঙে রোহিতের হাত ঝারি
খেলো । রোহিত হাতে ব্যাথা পেয়ে
লাবনীকে হাত থেকে ছেড়ে দিলো ।
নাহ !!! লাবণী সোজা তিনতলা থেকে
একেবারে নিচে পানিতে পড়ে
গেলো । "রোহিত" , রোহিত" , বলে
চিৎকার করতে থাকল । রোহিত নিচে
নেমে গেলো । ৩০ জন ছাত্র ছাত্রি
এবং ২০ জন শিক্ষকের সবাই রেলিঙের
পাশে চলে এল । লাবণী শ্বাস নিতে
পারছেনা । একবার ডুবছে আবার
ভাসছে । এখনও লাবণী "রোহিত ,
রোহিত" বলে চিৎকার করছে । আর
রোহিত চিৎকার করছে "কেউ
লাবনীকে বাচাও , কেউ একজন বাচাও"
। তারপর আরেকটা ঝাপের শব্দ শুনলাম ।
দুইতলা থেকে কেউ একজন ঝাপ
দিয়েছে । হয়তো রোহিতের চিৎকার
শুনেই লাফ দিয়েছে । নাহ , যে লাফ
দিয়েছে সে রোহিতের চিৎকার শুনে
লাফ দেয় নি । সে লাফ দিয়েছে তার
ভালবাসার জন্য । অরন্য দুইতলা থেকে
লাফ দিয়েছে পানিতে । আর আমার
মাথায় শুধু একটা কথাই এল "অরণ্য
সাতারের কিছুই জানে না" ।
৭ দিন পরঃ
অরণ্য এখনো কোমায় আছে । ডাক্তার
বলেছেন ওর ফুসফুসে নাকি পানি
ঢুকেছে । পানি না বের করলে ওর শ্বাস
নিতে সমস্যা হবে । আবার কোমায়
থাকলে অপারেশনও করা যাবে না ।
যখন কোমা থেকে ফিরে আসবে ঠিক
তখনই অপারেশন করা লাগবে ।
লাবণী এই সাত দিন ধরে হাসপাতালে
বসে ছিল । আমি যখন খাবার নিয়ে ওর
কাছে আসলাম , ও আমাকে বলল , " আমি
একটু অরণ্যকে দেখতে পারব ? " । আমি
কিছুক্ষন ওর চোখের দিকে তাকিয়ে
রইলাম । ওর চোখে যা দেখলাম তা
কখনও আগে ওর চোখে দেখিনি ।
রোহিতের সাথে থাকার সময় তো
কখনোই দেখি নি , দেখেছিলাম শুধুই
বিভ্রান্তি । আজকে দেখলাম অন্য কিছু
, পবিত্র ।
লাবণী অরণ্যের বেডের পাশে বসে
আছে । অরণ্য জীবন মৃত্যুর মধ্যে । আর
লাবণী নেই ওর নিজের মধ্যে । লাবণী
কথা বলা শুরু করল ।
অরণ্য , জানি না তুমি কোন সময় জেগে
উঠবে । যত দেরিই কর না কেন , আমি
তোমার অপেক্ষায় থাকব । তোমাকে
অনেক কিছু বলার আছে , অনেক কিছু
অরন্য । ৩ বছর আগে তুমি বারান্দায় ঝুলে
যে কথা গুলো বলেছিলে আর আমি
হেসেছিলাম সেই কথা গুলো আজকে
তোমাকে বলতে চাই । এই রকম অনুভূতি
আমার কখনও হয় নি । কি রকম একটা
ব্যাথা মনের ভিতর । কিছু একটা
হারানোর ভয় সারাক্ষন । আমি এই
ব্যাথা নিয়ে ২ দিনও থাকতে পারবনা
। তুমি ৩ বছর ধরে কিভাবে থাকলে ? এই
অরন্য , শুনছো ? শুধুমাত্র ভালবাসলেই এই
ব্যাথা সহ্য করা যায় । আমি কি করতে
পারব ?
অরন্য জেগে উঠল । আস্তে আস্তে বলল , "
লাবণী ভাল আছো ? "
লাবণী কেঁদে ফেলল । অশ্রু লোকানোর
কোনো চেষ্টা করলনা ।
অরন্যঃ আমি তো শুধু কেমন আছ
জিজ্ঞেস করলাম । এতে কাঁদার কি
হল ?
লাবনীঃ ( নিশ্চুপ ) ।
অরন্যঃ "লাবনী , আমি বলেছিলাম না
আমি তোমাকে জীবনের শেষ মুহূর্ত
পর্যন্ত ভালবাসবো ? আমি আমার কথা
রেখেছি লাবণী । আমি এখনও
তোমাকে ভালবাসি । লাবণী
শেষবারের মত বলি , আমি তোমাকে
অনেক ভালবাসি । যাই লাবণী , ভাল
থেকো " , বলে অরণ্য লাবণীর গালে
আস্তে করে একটু হাত দিয়ে ছুঁতে চাইল
। লাবণী গাল বাড়িয়ে দিলো । কিন্তু
অরণ্যর হাত লাবণীর গাল স্পর্শ করার
আগেই থেমে গেলো । অরণ্যকে মরে
গিয়ে প্রমাণ করতে হল যে সে ঠিকই
লাবণীকে ভালবাসে ।
তিন দিন পরঃ আমি লাবনীর বাসায়
গেলাম । লাবণী ওর রুমে দরজা
লাগিয়ে বসে আছে । আমি ঢুকলাম
রুমে । " লাবণী , অরন্য মারা যাবার পর
ওর বেডে এই ডায়রিটা ছিল । এর শেষ
পৃষ্ঠায় লেখা ছিল যে ডায়রিটা যেন
তোমাকে দেয়া হয় । তাই দিতে
আসলাম " , বলে আমি হাত বাড়ালাম ।
লাবণী আমার হাত থেকে ডায়রিটা
নিলো । প্রথম পাতা উল্টানোর পরেই
সেই লাল গোলাপটা দেখতে পেলো
যা হাতে নিয়ে অরন্য লাবনীকে
প্রেম নিবেদন করতে চেয়েছিল ।
গোলাপ মজে গেছে কিন্তু গোলাপের
মধ্যে গন্ধ রয়ে গেছে । তিন বছর আগের
গোলাপ এখনো গন্ধ রয়ে গেছে !
লাবণী গোলাপটাকে নাকের কাছে
নিয়ে তীব্রভাবে গন্ধ নিতে চাইল ।
তারপর চোখ বন্ধ করে ফেললো । চোখ
যখন খুলল তখন দুই ফোটা অশ্রু লাবণীর গাল
বেয়ে ঝরে পড়ল । লাবণী পড়তে শুরু করল
। প্রথম লাইন এইভাবে শুরু হল " একটু আগে
লাবনী গেলো । রিকশায় করে , লাল
জামা পড়ে ......... " । লাবনীর চোখ
বেয়ে আবারও পানি ঝরল । এবার আরো
বেশি পরিমাণে । লাবনী
ডায়রিটাকে বুকের কাছে নিয়ে শক্ত
করে ধরে কেঁদে উঠল । লাবণী কান্না
থামাতে চাইল না । আজ যত অশ্রু ঝরার
ঝরবে । আজ লাবনীর কাঁদার দিন ।
লাবণী আজ কাঁদবে ।
Friday, 16 September 2016
লিখিবো শিরোনামে??--
-- কি করো??
-- তুমি জেনে কি করবা?
-- তোমার মাথা ফাটাবো ফাজিল..
(রেগে গিয়ে)
যতবার কথা বলতে যাই ততবারই
তেরামি কথা,
আর কথা বলবোনা তোমার সাথে আজ
থেকে,
-- তুমি কথা না বললে মনে করিওনা
আকাশে কখনো রুদ্র থাকবেনা,
বরং ভালোই চলবে আকাশ তার গতি
নিয়েই,
শুধু মাঝখান থেকে তুমি আকাশের
মাঝে মেঘ হয়ে বিচরণ করার
অধিকারটুকু হারাবে,
-- কি! তুমি এভাবে বলতে পারলে
কথাটা??
-- আমি না বললে কি অন্য কেউ বলবে
বলে তোমার মনে হয়??
-- ঠিক আছে আর কথা হবেনা তোমার
সাথে,
মেয়েটি নীরব হয়ে বসে আছে,
ওর নাম মেঘা,
মেয়েটির ইচ্ছে ছিলো সে কখনো
কারোর সাথে প্রেম করবেনা,
কিন্তু আকাশ নামের এই ছেলেটি তার
মন কেড়ে নেয় "আকাশ মেঘের"
শিরোনামে কোন এক ছন্দ লিখে,
কিন্তু গতরাতে মেঘা খুব বেশিই
অধিকার খাটাতে চেয়েছিলো
আকাশের সাথে,
কিন্তু আকাশের বুদ্ধির কাছে সে
বারবার হেরে গিয়েছে,
মেঘার বুঝতে বাকি নেই যে,
আকাশ এখনো রাতের বিষয়টা নিয়ে
তার উপরে অভিমান করে আছে,
মেঘা আকশের অভিমান ভাঙাবার
জন্যে আবারও তাকে ম্যাসেজ দেয়,
-- এই!!
-- কি? তুমি না বললে আর কথা হবেনা
আমার সাথে?
-- হুম বলেছি
এবার তোর মাথা ফাটাবার জন্যে
ম্যাসেজ দিয়েছি (আবারও রেগে যায়
মেঘা)
-- আচ্ছা ফাটিয়ে দাও,
আমি মরে গেলেই তুমি মুক্তমনা হয়ে
যাবে,
কাউকে নিয়ে ভাবতেও হবেনা
তোমার,
-- দেখো আকাশ!
আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে প্লিজ মাফ করে
দাও!
আমি আর অবাধলভ্য আচরণ করবোনা
তোমার সাথে!!
এবার আর আকাশ রাগ করে থাকতে
পারলোনা,
তার প্রতি মেয়েটির এতো দূর্বলতা
সে কখনো কল্পনাও করতে পারেনা,
সে এখন একমনে ভাবছে মেঘার কথা,
আমাকে এতোটা ভালবাসে মেয়টি!
এই ফেইসবুক জগতেও কি করে এটা সম্ভব!
সত্যিই মেয়েটি অনেক ভালো,
সে এবার ভাবছে আরেকটু দুষ্টুমি করা
যাক মেঘার সাথে,
এই ভেবে এবার আকাশ মেয়েটির
ম্যাসেজের উত্তর দিলো..
-- হুম... পুরো আকাশ এখন মেঘমুক্ত,
কোথাও মেঘের ছেড়া আঁচলও নেই
যেখানে আকাশ মেঘকে ক্ষমা করবে,
-- কি! আমি নেই তোমার মাঝে??
-- আরে পাগলি তুমি বুঝোনা কিছুই,
সত্যি তুমি এখনো অনেক অবুঝ রয়ে
গেলে...
-- তো! কি বলেছো এসব আকাশের বুকে
মেঘ নেই??
-- ওটাতো বুঝিয়েছি যে তোমার
কোন কথা আর আমার মনে নেই
আমি সব ভুলে গিয়েছি,
-- হয়েছে হয়েছে আপনার কবিতা এখন
বাদ দিন এবার বলুন মাফ করেছেন
কিনা!
-- আরে পাগলি! ভালবাসার মানুষের
কাছে মাফ চাইতে নেই,
তুমি বুঝনা,
অভিমান দিয়ে অভিমান ভেঙে
দেওয়ার নামই ভালবাসা,
-- আচ্ছা সেটা কিভাবে! বুঝিয়ে দাও
প্লিজ...
-- না তোমাকে সব বুঝিয়ে দিলে তুমি
আমার উপরে আরও বেশি করে মেঘ
ছড়িয়ে দেবে,
-- হি হি হি... পাগল একটা.. তোমাকে
মেঘ হয়েই আমার আঁচলে চিরদিন
লুকিয়ে রাখবো,
ভাব নিবানা একদম,
অতঃপর একটি অদ্ভুত ভালবাসা
এভাবেই অনুভূতি নিয়ে মান অভিমান
করে কাটিয়ে দেয় আনন্দের প্রহর গুলো,
একসময় যখন দু'জন দু'জনার হয়ে যেতে
পারে..
তখন! ---------- শূন্যস্থানে কি লিখবো??
সত্যিই এই অনুভূতিটা আমার জানা নেই,
ভালবাসাই কখনো পাইনি
ভালবাসার মানুষকে পাবার আনন্দঘন
অনুভূতির কথা কিভাবে বলবো??
আপনি - তুমি
.
নিধি ও আবিদ একে অপরকে
ভালনাসে। পাশাপাশি বাসায়
থাকে। গতকাল আবিদের বাবা মা
এসেছে গ্রাম থেকে। তাই ইমপ্রেশন
জমানোর জন্য নিধি সবার জন্য রুটি
মাংস বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দরজায়
নক করবে এমন সময় ভেতর থেকে আবিদ ও
তার মায়ের কথাবার্তা শুনতে পেল।
.
- মা নিধি অনেক ভাল মেয়ে।
~ তাতে কি? তোর বন্ধু।
- তাই তো ও আমাকে ভাল বুঝবে।
~ দেখ শুধু বুঝলেই হয় না। সম্মানটা বড়
ব্যাপার।
- কি যে বল মা! ও আমাকে যথেষ্ট
সম্মান করে।
~ বন্ধু বন্ধুকে কতটুকু সম্মান করে তা আমি
ভালই জানি।
- আরে মা তুমি ভুল বুঝছো।
.
~ তোর বাবার আর আমার বিয়ে আজ ২৫
বছর হয়ে গেল। তবুও আজ পর্যন্ত আমি
উনাকে তুমি করেও বলিনি। আর এই
মাইয়া (নিধি) তোকে তুই করে বলে।
- আমরা বন্ধু তাই। তাছাড়া তুই আপনি
এসবে সম্মান নেই। সম্মান হল অন্তরে।
~ আমাকে শিখাতে আসিস না।
- দেখ মা ……… (দরজায় ঠকঠক শব্দ পেয়ে
কথা থামিয়ে দিল)
.
ঠকঠক ঠকঠক
- আরে তুমি? এসো এসো।
> আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
~ ওয়ালাইকুম আসসালাম (সালাম
নিয়েছে না যেন ঝাড়ি মেরেছে।
)
- তুমি হঠাৎ? হাতে এটা কি?
> আপনাদের জন্য এনেছি। চিকেন
বিরিয়ানি। (আবিদকে বলল)
.
আবিদ চোখ বড় বড় করে নিধির দিকে
তাকিয়ে আছে।
~ নিজে বানিয়েছো?
> জ্বি আন্টি নিজে বানিয়েছি।
সার্ভ করে দেই?
~ না থাক। আবিদের বাবা আসুন। উনি
আসলে এক সাথেই খাব।
> জ্বি আচ্ছা। আমি এখন যাই।
.
নিধি চলে এল। পরে বিকালে ছাদে
দেখা হল দুজনের।
- কেমন আছ?
> ভাল। আপনি?
- আপনি বলছ কাকে?
> আপনাকে।
- কেন? আমি কি পর?
~ আপনি বললে সম্মান দেয়া হয়ব তুমি -
তুই বললে অসম্মান করা হয়।
- হুম বুঝেছি। তখন আমাদের কথা
শুনেছিল তাই তো?
.
অন্যদিকে ঘুরে তাকালো।
- আরে পাগলী মা এমনিই বলেছে।
> উনি তো ঠিকই বলেছেন। আমি
আপনিও বলতে পারব। অসুবিধা নেই। তবুও
আপনাকে ছাড়া বাঁচবো না। (জড়িয়ে
ধরে কাদতে লাগল)
- ধুর বোকা। আমি তো তোমারই। আর শুন
বড় বড় নেতাদেরকেও আমরা আপনি করে
বলি। তাই বলে কি আমরা তাদেরকে
সত্যিই সম্মান দেই? নাহ। ওটা হল
সাময়িক সম্মান। ব্যবহারে বুঝা যায় ভদ্র
কতটুকু। সেই ভদ্রতা শুধু উপরে দেখা যায়।
অন্তরের খবর কেউ জানে না। তাছাড়া
তুমি শব্দটাতে আপন ও মধুর ভাব আছে।
আপনিতেও আছে। এখন যার যা ইচ্ছা।
> এত কিছু বুঝি না। আমি আপনিই ডাকব।
- ডেকো অসুবিধা নেই। (এসব কথা
আড়াল থেকে আবিদের মা শুনে
নিশ্চুপে বাসায় চলে গেল)
.
- এই শুন, মা বলেছেন তোমার রান্না
ভাল আছে। এখন ঘরের পুত্র বউ করা
যাবে।
> আমি ছোট থেকেই রান্না পারি।
- তাহলে তো আরও আগে বউ করা উচিত
ছিল। তাহলে এতদিনে মা দাদী
শব্দটাও শুনতে পেত।
> যাহ! দুষ্টু। না মানে যান দুষ্টু।
.
দুজনেই এক সাথে হেসে উঠল।
.
পরেরদিন আবিদের বাবা মা নিধির
বাসায় এসে নিধির বাবার কাছে
বিয়ের প্রস্তান দিল। নিধির বাবা
আবিদ ও নিধির ব্যাপারটা আগ থেকেই
জানে। শুধু অপেক্ষা ছিল পারিবারিক
সম্মতির। ব্যস আজ সেটাও হয়ে গেল।
.
ভাল থাকুক সকল ভালবাসা।